স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে যাত্রীরা,বায়ু দূষনের কবলে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক !
খবরের সময় ডেস্ক:
বিআরটি প্রকল্পের চলমান ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে গাজীপুরের কাজে বায়ুদূষণের চিত্র চোখে পড়ার মত ।থেমে থেমে ধীর গতিতে কাজ করার কারনে প্রায়‘শো রাস্তার একপাশ বন্ধ থাকে,যে কারনে সৃষ্ট হয় জানজটের আর শুকনো মৌসুম হওয়ার কারনে গাড়ীর চাকার ঘর্ষনে লুটোপুটি খেতে থাকে ধুলোবালিিএই ধুলোবালির কারনে সাধারণ পথচারীদের অবস্থা নাকাল ।এদিকে মহামাণ্য হাইকোর্টের নির্দেশনা আছে,জনসাধারণের সুবির্ধাথে সড়ক ও মহাসড়কের উন্নয়নের কাজ করতে হলে ধুলোবালির প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে কমপক্ষে দিনে দু-বার পানি ছিটাতে হবে । প্রয়োজনে একাধিকবার পানি ছিটাতে হবে । কে শোনে কার কথা ?
খবরের সময় ডেস্ক:
এদিকে এয়ার ভিজ্যুয়ালের বায়ুদূষণ পর্যবেক্ষণ যন্ত্র দিয়ে বায়ুর মান মাপাযোক করেন একটি পর্যবেক্ষক দল।তাদের মতে,বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে ঢাকা।শনিবার দিনভর প্রথম অবস্থানে ছিল পাকিস্তানের লাহোর,তৃতীয় অবস্থানে ভারতের দিল্লি।চতুর্থ ও পঞ্চম অবস্থানে ছিল ভিয়েতনামের হেনয় শহর।বিশ্বের বায়ুদূষণ পর্যবেক্ষণকারী যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা এয়ার ভিজ্যুয়ালের পর্যবেক্ষণ (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স) অনুযায়ী,শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে রাজধানীর বায়ুর মান ছিল ২৩৫,যাকে বায়ুমান সূচকে অস্বাস্থ্যকর বলা হয়।এয়ার ভিজ্যুয়ালের বায়ুদূষণ পর্যবেক্ষণ যন্ত্র দিয়ে বায়ুর মান মাপা হয়।মূলত বাতাসে অতি সূক্ষ্ণ বস্তুকণা পিএম-২.৫–এর পরিমাণ পরিমাপ করে বায়ুর মান নির্ধারণ করা হয়।এয়ার ভিজ্যুয়ালের হিসাবে,বায়ুর মান ০ থেকে ৫০ থাকলে ওই স্থানের বায়ু ভালো।আর মান ২০০ থেকে ৩০০–এর মধ্যে থাকা মানে খুবই অস্বাস্থ্যকর।বায়ুর মান ৩০০–এর বেশি থাকা মানে ওই স্থানের বায়ু ‘বিপজ্জনক’।এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের হিসাবে, ঢাকার বায়ুর মান শুক্রবার রাত নয়টার দিকে ৩৩২ উঠেছিল।গবেষকেরা বলছেন,ঢাকা ও গাজীপুরের বায়ুর মান ডিসেম্বর মাসজুড়েই খারাপ অবস্থায় ছিল।আর জানুয়ারিতে এটি আরও খারাপ হয়েছে।এই অবস্থা দীর্ঘদিন চলমান থাকলে যেকোন বয়সের মানুষ শ্বাসকষ্ঠসহ যেকোন জটিল ও কঠিন রোগে আক্রান্ত হবেন ।